দাগ-প্রবণ ত্বকের জন্য ধাপে ধাপে রুটিন

Best Beauty Care

দাগ-প্রবণ ত্বকের জন্য ধাপে ধাপে রুটিন

দাগ-প্রবণ ত্বকের জন্য ধাপে ধাপে রুটিন

গ্লাস স্কিন ব্যাপারে আমরা সবাই পরিচিত। এটি একটি বিউটি ট্রেন্ড যা বিশ্বব্যাপী পরিচয় পেয়েছে ইন্টারনেটের যুগে। কোরিয়ান বিউটি ট্রেন্ডের একটি সুপারিশযোগ্য অংশ হিসেবে গ্লাস স্কিন বর্তমানে বিশ্বব্যাপী উল্লেখ পায়। এটি মূলত ফ্ললেস ত্বক নির্দেশ করে, যা যেমন শফলতা এবং পরিষ্কারতা নির্দেশ করে। এটি কাচের মতো শ্রমকে প্রতিষ্ঠান করে, এবং এর জন্য আমাদের দেশের অশুদ্ধ পরিবেশের মধ্যে কার্যকরী হয়ে আসে। যদিও, নিয়মিত ভাবে পাঁচটি ত্বক যত্নের ধারণা করলে আপনাও ঘরে বসে গ্লাস স্কিন বিশ্বাস করে উপভোগ করতে পারেন। এখন এসে দেখা যাক এই সহজ পাঁচটি ধাপ, যা প্রতি রাতে অনুসরণ করলে আপনার ত্বক স্বপ্নের মত চমকপ্রদ হবে।

১. অয়েল ক্লিঞ্জিং

প্রতিদিন আমরা মুখে কতগুলি ধরনের মেকআপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করি সে সম্পর্কে আমরা চিন্তা করি। বিশেষত, দৈনন্দিন ধূলাময়লা, দূষণ এবং অন্যান্য কারণে আমাদের ত্বকে জমা থাকতে পারে। তাই শুধুমাত্র ফেসওয়াশ ব্যবহার করা যথেষ্ট হতে পারে না। ফেসওয়াশ ব্যবহারের আগে অবশ্যই একটি অয়েল ক্লিনজার ব্যবহার করা উচিত। অনেকে যেকোনো ধরনের তেল ব্যবহার করে থাকেন, তবে নারিকেল তেল মুখে ব্যবহার করা উচিৎ হতে পারে না। জোজবা অয়েল বা আমন্ড অয়েল ত্বকের জন্য ভালো হতে পারে। এছাড়া, বাজারে বিভিন্ন উন্নত মানের অয়েল ক্লিঞ্জার পাওয়া যায়। কোরিয়ানদের মধ্যে THE FACE SHOP Rice Water Bright Cleansing Light Oil এবং innisfree olive real cleansing oil এই দুটি অয়েল ক্লিঞ্জার খুবই জনপ্রিয়।

২. ফোম ক্লিঞ্জার

কোরিয়ানদের স্কিনকেয়ারে ডাবল ক্লিঞ্জিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। ডাবল ক্লিঞ্জিং হলেও কোরিয়ান স্কিনকেয়ারে এটি একটি মুখ্য ধাপ হিসাবে প্রমাণিত হয়। অয়েল ক্লিঞ্জিং পরে ত্বকে তেল থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অত্যন্ত জরুরী এবং তারপরে একটি ফোম ক্লিঞ্জার ব্যবহার করে ত্বককে পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল করা হয়। ডাবল ক্লিঞ্জিং ফলে ত্বকের অতিরিক্ত ময়লা এবং পোরের মধ্যে প্রবেশকারী পদার্থ পরিস্কার হয়ে ত্বক উজ্জ্বল এবং মসৃণ হয়।

৩. টোনার

আমরা নিয়মিত ফেইসওয়াশ এবং অন্যান্য দামী প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকলেও বেশিরভাগ সময় আমরা টোনার মিস করে যাই। আমরা অনেকেই মনে করি টোনার সাধারন পানির মত তাই এটি আলাদাভাবে ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। তবে এটি আমাদের অনেক বড় ভুল ধারণা। ফেইসওয়াশ ব্যবহারের পর আমাদের ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে যার ফলে ত্বকের সিবাম প্রোডাকশন বেড়ে যায়। এতে ত্বকে তেলতেলে ভাব তৈরি হয় এবং ওপেন পোরসের সমস্যা দেখা দেয়। তাই একটি টোনার ব্যবহারের ফলে পিএইচ ব্যালেন্স বজায় থাকে এবং পোরসের সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব তৈরী হয়না। শীতের দিনের জন্য ময়েশ্চারাইজিং টোনার হিসেবে
Pomegranate Visible Difference Moisture Toner এবং
Skinfood Tomato Brightening Toner ব্যবহার করা যেতে পারে।

৪. সিরাম

সিরাম ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে, ময়েশ্চার লক করে, স্কিনে একটি ব্যারিয়ার তৈরি করে যাতে ত্বকে হাইড্রেশনের অভাব না হয়। নিয়মিত সিরাম ব্যবহারে ত্বকের বিবর্ণতা কমে যায় এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। সিরাম দিয়ে স্কিন রিপেয়ার এবং কোমল রাখা যায়। নিয়মিত ব্যবহারে সহজেই পাবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত গ্লোয়িং গ্লাসি স্কিন। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন প্রসিদ্ধ কোরিয়ান ব্র্যান্ড Innisfree Green Tea Seed Serum বা Innisfree Brightening Pore Serum।

5. ময়েশ্চারাইজার

অনেকেদের মনে হয় যে গরমকালে বা অযেলি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন হয় না। এটা একটি ভুল ধারণা। নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করলে ত্বকের অযেল গ্ল্যান্ড ত্বকের অযেল ব্যালেন্স রক্ষা করতে পারে না, যা ত্বকের অতিরিক্ত অযেল উৎপন্ন করে এবং তার ফলে ত্বকে অতিরিক্ত তেলের মন্দগতি হতে পারে। তাই নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত যাতে ত্বকের অযেল প্রোডাকশন নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং ত্বক সুস্থ এবং আলোচিত রাখে। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী, আপনি প্রসিদ্ধ কোরিয়ান ব্র্যান্ডের Innisfree Green Tea Seed Cream বা Innisfree Jeju Cherry Blossom Jelly Cream ব্যবহার করতে পারেন।

সুতরাং আমরা দেখলাম কিভাবে অতি সহজে ঘরে বসেই গ্লাস স্কিন পাওয়া সম্ভব। উপরোক্ত স্টেপগুলো ফলো করে আমরা খুব সহজেই গ্লাসের মত চকচকে স্কিন পেতে পারি।