
আজকাল আমরা সবাই স্কিন কেয়ার সম্পর্কে অনেক সচেতন। স্কিনকেয়ারে ভুল করলে বাহিরের ধূলো, পলিউশন এবং ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। আমরা সাধারণত ইন্টারনেটের তথ্যের ভিত্তিতে স্কিনকেয়ার প্রতিদিন বিভিন্ন প্রকার এক্সপেরিমেন্ট করি, কিন্তু অনেক সময় ভুল তথ্যের পরিণামে ত্বকের অবাঞ্ছিত ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই আজ আমরা জেনে নেব স্কিনকেয়ারের কোন ভুল সম্পর্কে এবং কীভাবে সঠিকভাবে যত্ন নেওয়া উচিত।
১। সরাসরি লেবু ব্যবহার করা
বাসাতে যেকোনো ফেস প্যাক বা উপটান তৈরির সময় আমরা অক্সিজেন ছাড়া হিসেবে সাধারণত লেবু ব্যবহার করি, তবে কিছু ক্ষেত্রে আমরা সরাসরি লেবুর রস ব্যবহার করি ত্বক পরিষ্কার করার জন্য। এটি সাইট্রিক এসিড ধরা করে যা ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর নয় এবং ত্বক জ্বালাপোড়া বা রেশের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই সূর্যের আলোতে যাওয়ার পর এই পদার্থটি ত্বককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং কোলাজেন নষ্ট হতে পারে, যা ত্বকের সঠিক স্বাস্থ্য ও বলিরেখা পরিস্কার করতে পারে।
২। নারিকেল তেলের ব্যবহার
রূপচর্চার সময়ে নারিকেল তেল ব্যবহার হচ্ছে প্রাচীন যুগ থেকে। এটি চুলের পড়া রোধে কার্যকরী, চুলকে মজবুত করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তবে নারিকেল তেলের ব্যবহারের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এটি একটি comodogenic উপাদান, যা মুখে ব্যবহারে ত্বকের রোমকূপ বন্ধ করে এবং একনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ফাঙ্গাল একনের ক্ষেত্রে এটি খুব ক্ষতিকর হতে পারে।
৩। বেকিং সোডা
আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে ত্বকের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বেকিং সোডা ব্যবহারের প্রচলন দেখে আসছি। এটা একদমই ভুল একটি তথ্য। বেকিং সোডা ব্যবহারে ত্বকের স্বাভাবিক পিএইচ লেভেল নস্ট হয় ফলে ত্বকের সিবাম প্রোডাকশন বেড়ে যায় এবং ত্বকে পোরস ও একনের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকের ব্যারিয়ার নষ্ট করে ত্বককে ড্যামেজ করে দেয় এবং অল্প বয়সেই বলি রেখা বা ফাইন লাইন দেখা দেয়।
৪। রসুন
আমরা অনেকে ব্রণের সমস্যা দূর করতে রসুন ব্যবহার করে থাকি। রসুনে কিছু এন্টি-অক্সিডেন্ট এবং এন্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান আছে যা ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। কিন্তু এর সাথে রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন যা সরাসরি ত্বকে ব্যব্বহার করলে চামড়া পুড়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। এছাড়া রসুনের রস ব্যবহারে হাইপা পিগমেন্টেশনের সমস্যা দেখা দেয় ফলে ওই স্থানটি কালো হয়ে যায়। তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে রসুনের টিপস কাজে লাগলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এর উল্টোটা হয়। তাই কোনো রকম রিস্ক না নিয়ে রসুন ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
৫। টুথপেস্ট
বেকিং সোডা এর মতো এই টুথপেস্ট হ্যাকগুলি আমরা ইউটিউবে দেখে থাকি। তবে এটা কিন্তু সঠিক নয়। টুথপেস্টে এমন কোনো এন্টি-অক্সিডেন্ট বা এন্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান নেই যা আপনার মুখের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। তাই না জানে এই ভুলটি করা উচিৎ নয়।
এবার আমরা দেখব কিভাবে আমরা সবচেয়ে কম ভুল করি। আমাদের নিজস্ব তালিকা এইভাবে হতে পারে:
১. লেবু ব্যবহার করা না বা সরাসরি লেবু ব্যবহার না করা।
২. নারিকেল তেল ব্যবহার করা।
৩. বেকিং সোডা ব্যবহার করা।
৪. রসুন ব্যবহার করা।
৫. টুথপেস্ট ব্যবহার করা।
এই ভুলগুলি যদি এডিয়ে চলা যায়, তবে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। তাই স্কিনকেয়ারে এই মামলার জন্য সাবধান থাকতে গুরুত্বপূর্ণ।