খোলা বা বর্ধিত ছিদ্রের যত্ন নেওয়া ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের ছিদ্র বড় হলে তেল, ময়লা এবং মৃত কোষ জমে গিয়ে ব্রণ ও অন্যান্য ত্বকের সমস্যা তৈরি করতে পারে। খোলা ছিদ্র কমানোর জন্য নিয়মিত ক্লিনজিং, এক্সফোলিয়েশন এবং সঠিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন। প্রাকৃতিক উপাদান এবং সঠিক স্কিন কেয়ার রুটিন অনুসরণ করলে ছিদ্র ছোট রাখা এবং ত্বক মসৃণ ও স্বাস্থ্যকর রাখা সম্ভব।

পোরস হলো তোমার ত্বকের ছোট ছোট ছিদ্র, যা তেল এবং অতিরিক্ত গ্রীসি সহন করে। এগুলির বাংলা অনুবাদ হলো “লোমকূপ”। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে আমাদের মুখের লোমকূপ বড় হয়ে যায়। লোমকূপ বৃদ্ধির কারণে সমস্যা হতে পারে, যেমন-
- ব্রণ
- সেবাম উৎপাদন বৃদ্ধি যার কারণে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়
- সান ড্যামেজ
- ব্ল্যাক হেডস
পোর সাইজ কন্ট্রোল করতে করণীয়
এটা আপনিও জানেন যে পোরস নিমিষেই শেষ করা সম্ভব না, কিন্তু সঠিক পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি এর ভিসিবিলিটি কমিয়ে আনতে পারেন।
১. জেল ক্লিনজার ব্যবহার
স্কিন কেয়ার রুটিনের প্রথম ধাপ হলো সঠিক ক্লিনজার বেছে নেওয়া। যদি আপনার ত্বক সেনসিটিভ হয়, তাহলে জেল ক্লিনজার ব্যবহার করা উচিত। জেল ক্লিনজার আপনার ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করে এবং পোরসগুলি বাড়াতে সাহায্য করে না। সেনসিটিভ ত্বক অতিরিক্ত ধোয়ার জন্য প্রাকৃতিকভাবে ডিহাইড্রেট হতে পারে, তাই ক্লিনজার ব্যবহার করতে একবারেই সীমান্ত রাখুন। যেকোনো ধরনের স্কিনকেয়ার পণ্য ব্যবহার করার আগে মুখকে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
২. ওয়াটার-বেজড পণ্য ব্যবহার
ওপেন পোর বৃদ্ধির কারণে ত্বক তৈলিক হয়ে যায়। তাই অতিরিক্ত তেল সহ পণ্য ব্যবহার করার পরিবর্তে ওয়াটার-ভিত্তিক পণ্য ব্যবহার করুন, যা ত্বকের তেলের নিষেধ করে এবং পোরস সমাকুল্য রাখে।
৩. সকাল-সন্ধ্যা ময়েশ্চারাইজার
আপনার দৈনন্দিন ত্বক যত্নের অংশ হিসেবে, আপনার ত্বকের ধরন বা সমস্যা বিবেচনা করা ছাড়া ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। অল্প আর্দ্রতা, ময়লা, তেল এবং মেকআপ সহজেই আপনার ত্বককে ক্ষতি করতে পারে। নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে আপনার পোর বড় হওয়া প্রতিরোধ করবে এবং তার মাধ্যমে আপনার ত্বককে হাইড্রেট এবং নরম রাখতে সাহায্য করবে।
৪. এক্সফোলিয়েশন

পোরস বড় হওয়ার প্রতিরোধ করতে সপ্তাহে একবার এক্সফোলিয়েশন করুন। আপনার ত্বক যেকোনো ধরণের হোক না কেন, ত্বকের সুস্থতার জন্য এক্সফোলিয়েশন অত্যন্ত জরুরি। আপনি মাস্ক বা স্ক্রাব ব্যবহার করে এক্সফোলিয়েশন করতে পারেন। এটির ফলে আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল ও মৃত কোষ সরিয়ে যায় এবং পোরসগুলি বৃদ্ধি পায় না। যদি আপনার ত্বক প্রাকৃতিকভাবে তৈলাক্ত হয়, তবে সপ্তাহে দুই বার এক্সফোলিয়েশন করে তা সতেজ রাখতে পারেন। তবে আপনার ত্বক শুকিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে সপ্তাহে দুইবারের বেশি এক্সফোলিয়েশন করা উচিত নয়।
৫. সানস্ক্রিন ব্যবহার
সানস্ক্রিন আপনার ত্বককে সূর্যের রশ্মি থেকে রক্ষা করে এবং তা হাইড্রেটেড রাখে। যদি আপনি বেশি সময় বাইরে থাকেন, তবে কয়েকবার সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। বাড়িতে ফিরে এসে আপনি হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি সানস্ক্রিনের অয়েলি বৈশিষ্ট্য কারণ এটি মুখের অতিরিক্ত তেল দূর করে ত্বক পরিষ্কার ও পরিস্কার রাখে।
উপরের ধাপগুলো সঠিকভাবে মেনে চললে আপনার পোরস খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে। তাছাড়া, ভালো ঘুম, নিয়মিত স্কিন কেয়ার ও সঠিক ডায়েট করতে ভুলবেন না।
উপরের ধাপগুলো সঠিকভাবে মেনে চললে আপনার পোরস খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে। তাছাড়া, ভালো ঘুম, নিয়মিত স্কিন কেয়ার ও সঠিক ডায়েট করতে ভুলবেন না।