
আলফা হাইড্রক্সি এসিড বা এএইচএ সাধারণত উদ্ভিজ্জ এবং প্রাণী থেকে উৎপন্ন হয়ে থাকে। মূলত এটি একটি এসিড গ্রুপ যা ফলমূল থেকে পাওয়া যায়। আলফা হাইড্রক্সি এসিডে থাকে –
সাইট্রিক এসিড (সিট্রাস ফল থেকে পাওয়া যায়); গ্লাইকোলিক এসিড (আঁখ থেকে পাওয়া যায়); হাইড্রক্সিক্যাপ্রোয়িক এসিড (রয়্যাল জেলি থেকে পাওয়া যায়); হাইড্রক্সিক্যাপ্রিলিক এসিড (প্রাণী থেকে পাওয়া যায়); ল্যাকটিক এসিড (ল্যাক্টোজ বা কার্বোহাইড্রেটস থেকে পাওয়া যায়); ম্যালিক এসিড (ফল থেকে পাওয়া যায়); টারটারিক এসিড (আঙ্গুর ফল থেকে পাওয়া যায়)।
এই এসিড পানিতে দ্রবণীয় হওয়ায় এটি মৃত কোষে পূর্ণ ত্বকের উপরের স্তর সরিয়ে দিয়ে ভেতরের স্তরকে আরও মসৃণ ও উজ্জ্বল করে প্রকাশ করতে সাহায্য করে। আলফা হাইড্রক্সি এসিড ত্বকের কোলাজেনের মাত্রা বাড়ায়, যা এটিকে অ্যান্টি-এজিং উপাদান হিসেবে পরিচিত করেছে। শুষ্ক ত্বকের অধিকারী ব্যক্তিদের জন্যও আলফা হাইড্রক্সি এসিড একটি কার্যকর উপাদান।
আলফা হাইড্রক্সি এসিড প্রধানত ত্বকের এক্সফোলিয়েশনে সহায়ক। এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ, ময়লা, মেকআপ এবং টক্সিন অপসারণে কার্যকর। তাছাড়া এটি ত্বকের আরও কিছু উপকারিতা প্রদান করে
কোলাজেন এবং রক্তের প্রবাহকে বৃদ্ধি করে;
দাগ এবং বয়সের ছাপের কারণে ত্বকের বিবর্ণতা দূর করে;
রিঙ্কেলস ও এক্সপ্রেশন লাইনসকে মসৃণ করে;
ব্রণের ব্রেকআউট প্রতিরোধ করে;
ত্বককে নিখুঁত ও উজ্জ্বল করে তোলে।
ব্যবহারবিধি
এটি যেহেতু ফল ও প্রাণী থেকে প্রাপ্ত একটি অ্যাসিড, তাই খাদ্য উৎস থেকে এই অ্যাসিড সংগ্রহ করলে তেমন কোনো ক্ষতি নেই। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব ইত্যাদির কারণ হতে পারে। এছাড়া, লোশন ও ক্রিমের মাধ্যমে সরাসরি ত্বকে ব্যবহারেও তেমন কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই
সাবধানতা
তবে ত্বকের ধরন ও কন্ডিশন অনুযায়ী এই এসিড ব্যবহারের পর সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মিতে ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে। এছাড়াও, লালচেভাব, ফুলে যাওয়া, জ্বালাপোড়া এবং স্কিন ডিসকালারেশন হতে পারে সাময়িকভাবে। তবে সেনসেটিভ স্কিনে ভুলেও এই এসিড ব্যবহার করা যাবে না। ত্বকের উপরের স্তর এক্সফোলিয়েট করে ত্বকের অবস্থা আরো খারাপ করতে পারে এই এসিড।