রিবন্ডিং কেন করবো?

১. চুলের সোজাসুজি: যদি আপনার চুল কোঁকড়া বা ঢালু হয় এবং আপনি সোজা ও মসৃণ চুল পেতে চান, তবে রিবন্ডিং একটি কার্যকরী সমাধান হতে পারে। এটি চুলকে স্থায়ীভাবে সোজা করে এবং এর ফলস্বরূপ চুলের স্টাইল বজায় থাকে।
২. কন্ডিশনিং: রিবন্ডিংয়ের ফলে চুলে ব্যবহৃত হয় এমন কেমিক্যালগুলি চুলকে সিল্কি ও কোমল করে, ফলে চুলের ক্ষতি কম হয় এবং তা ভালোভাবে কন্ডিশন হয়।
৩. সময় বাঁচায়: সোজা চুল পেতে সাধারণত সময়ের দরকার হয়, কিন্তু রিবন্ডিংয়ের মাধ্যমে আপনি দীর্ঘ সময় ধরে সোজা চুল পেয়ে যেতে পারেন, যা প্রতিদিন চুল স্টাইল করতে সময় বাঁচায়।
৪. দীর্ঘস্থায়ী ফলাফল: রিবন্ডিংয়ের ফলাফল অনেক দিন স্থায়ী থাকে। এটি মাসের পর মাস ভালো মানের চুল প্রদান করে, যা বারবার স্টাইল করতে হয় না।
রিবন্ডিং কিভাবে করবো?

রিবন্ডিং একটি পেশাদার কাজ, তাই এটি একটি বিউটি সেলুনে করানো উচিত। তবে, এর প্রক্রিয়া সাধারণত এইভাবে হয়:
১. চুল পরিষ্কার করা: প্রথমে চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করতে হয়। এটি চুলের ওপর থেকে সমস্ত ময়লা ও তেল সরিয়ে দেয়, যাতে কেমিক্যালগুলো ভালোভাবে কাজ করতে পারে।
২. প্রসেসিং ক্রীম ব্যবহার: চুলের প্রতিটি অংশে একটি বিশেষ প্রসেসিং ক্রীম বা হিমক্রীম লাগানো হয় যা চুলের স্ট্রাকচার পরিবর্তন করে এবং সোজা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই ক্রীম চুলের কোঁকড়া অংশকে নরম করে।
৩. গরম স্টাইলিং: পরবর্তী ধাপে, একটি হেয়ার স্ট্রেটনার বা ইরন দিয়ে চুল সোজা করা হয়। এটি চুলকে সোজা ও মসৃণ করে, যেটি রিবন্ডিংয়ের মূল ফলাফল।
৪. ট্রিটমেন্ট ও সিলিং: শেষে একটি ট্রিটমেন্ট দিয়ে চুলের কিউটিকলগুলো বন্ধ করা হয়, যাতে চুল সিল্কি, মসৃণ ও ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়।
রিবন্ডিংয়ের পরিচর্যা

রিবন্ডিংয়ের পর চুলের বিশেষ পরিচর্যা প্রয়োজন যাতে চুল সুস্থ ও সুন্দর থাকে। কিছু টিপস:
১. শুরুতে চুল ভিজিয়ে রাখা থেকে বিরত থাকুন: রিবন্ডিংয়ের পর প্রথম ৩ দিন চুল ভিজানো বা ধোয়া উচিত নয়। এই সময় কেমিক্যাল কাজ করছে এবং চুলের স্ট্রাকচার ফিক্সিং চলছে।
২. ধীরে ধীরে শ্যাম্পু ব্যবহার করুন: প্রথম সপ্তাহে খুব শক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। সুসম শ্যাম্পু বা প্রাকৃতিক শ্যাম্পু ব্যবহার করুন যা চুলের সিল্কি ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
৩. কন্ডিশনার ব্যবহার করুন: চুলকে মসৃণ রাখতে নিয়মিত কন্ডিশনার ব্যবহার করা জরুরি। এটি চুলকে নরম এবং মসৃণ রাখে, এবং চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখে।
৪. গরম প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকুন: রিবন্ডিংয়ের পর চুলে অতিরিক্ত তাপ প্রয়োগ করা উচিত নয়। যেমন, গরম স্ট্রেটনার বা হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন, কারণ এটি চুলের কিউটিকলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
৫. অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করবেন না: রিবন্ডিংয়ের পর চুলে তেল ব্যবহার করবেন না, কারণ এটি চুলের প্রাকৃতিক সোজা ভাব নষ্ট করতে পারে।