বটক্স রিবন্ডিং কেন করবেন?

বটক্স রিবন্ডিং একটি আধুনিক হেয়ার ট্রিটমেন্ট যা আপনার চুলকে একেবারে নতুন রূপে বদলে দিতে পারে। এটি সাধারণ রিবন্ডিংয়ের তুলনায় আরও বেশি যত্নশীল এবং চুলের ক্ষতি কমায়। আসুন, জানি কীভাবে বটক্স রিবন্ডিং চুলের জন্য একটি দুর্দান্ত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে।
বটক্স রিবন্ডিং কী?
বটক্স রিবন্ডিং হল এমন একটি ট্রিটমেন্ট পদ্ধতি, যেখানে বটক্স (Botox) ব্যবহার করে চুলের প্রাকৃতিক গঠন পুনঃস্থাপন এবং মসৃণতা আনা হয়। সাধারণ রিবন্ডিংয়ে চুলের কোষে শক্ত রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়, যা চুলের গঠন বদলে দেয়। কিন্তু বটক্স রিবন্ডিংয়ে প্রাকৃতিক উপাদান এবং পুষ্টি ব্যবহৃত হয়, যা চুলের স্বাস্থ্য বাড়ানোর পাশাপাশি এর মসৃণতা ও ঝলমলে ভাব ধরে রাখে
বটক্স রিবন্ডিংয়ের উপকারিতা:
চুলের গঠন পুনঃস্থাপন: বটক্স রিবন্ডিং চুলের গঠনে থাকা ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো পূর্ণ করে এবং চুলের পুষ্টি সরবরাহ করে।
কম ক্ষতি, আরও সুরক্ষা: এটি সাধারণ রিবন্ডিংয়ের চেয়ে কম ক্ষতিকর এবং চুলের জন্য নিরাপদ।
মসৃণ ও ঝলমলে চুল: বটক্স রিবন্ডিংয়ের ফলে চুল মসৃণ এবং ঝলমলে হয়ে ওঠে।
ফ্রিজ কমানো: চুলে কোনো ধরনের ফ্রিজ বা উড়ন্ত অংশ দেখা যায় না, এবং চুলের লুক থাকে একেবারে সোজা ও স্মুথ।
দীর্ঘস্থায়ী ফলাফল: বটক্স রিবন্ডিংয়ের ফলাফল দীর্ঘস্থায়ী হয়, যা সাধারণ রিবন্ডিংয়ের তুলনায় বেশি সময় ধরে থাকে।
কিভাবে বটক্স রিবন্ডিং কাজ করে?
প্রথম ধাপ – চুল পরিষ্কার করা: প্রথমে চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং পরিষ্কার করে নিন যাতে কোন ময়লা বা তেল না থাকে।
দ্বিতীয় ধাপ – বটক্স ট্রিটমেন্ট প্রয়োগ: চুলে বটক্স প্রোডাক্ট লাগানো হয় এবং তা কিছু সময়ের জন্য রেখে দেওয়া হয় যাতে এটি চুলে প্রবেশ করতে পারে।
তৃতীয় ধাপ – চুলে ফোলানো: চুলে লাগানোর পর, গরম স্টাইলিং টুল (যেমন হট আইরন) ব্যবহার করে চুল সোজা করা হয় এবং বটক্স প্রোডাক্ট চুলে সিল হয়ে যায়।
চতুর্থ ধাপ – চুল ধোয়া: কিছু সময় পর চুল ধুয়ে নিন এবং ব্লো ড্রাই করুন। চুল মসৃণ ও ঝলমলে হয়ে উঠবে।
বটক্স রিবন্ডিংয়ের পর যত্ন:
প্রথম ৩ দিন চুল ধোবেন না: বটক্স রিবন্ডিংয়ের পর প্রথম ৩ দিন চুল ধোয়া যাবে না, কারণ এটি প্রোডাক্টকে পুরোপুরি চুলে সেঁটে নিতে সাহায্য করবে।
সালফেট-মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন: সালফেট চুল থেকে প্রোডাক্ট দূর করতে পারে, তাই সালফেট-মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
অতিরিক্ত হিট স্টাইলিং এড়িয়ে চলুন: খুব বেশি হিট স্টাইলিং টুল ব্যবহারের ফলে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাই ব্যবহারের পরিমাণ কম রাখুন।
রেগুলার টাচ-আপ: প্রতি ৩-৪ মাস পর পর টাচ-আপ নিতে হবে যাতে চুলের মসৃণতা ও ঝলমলে ভাব ধরে থাকে।
যেকোনো প্রোডাক্ট ইউজ করার ক্ষেত্রে চেষ্টা করুন অথেনটিক প্রোডাক্ট চুজ করার। অথেনটিক মেকআপ, স্কিনকেয়ার ও হেয়ারকেয়ার প্রোডাক্টসের জন্য আপনারাও ভিজিট করতে পারেন আইগ্লামার্সের ওয়েবসাইট। আপনারা চাইলে অনলাইনে আইগ্লামার্স ডট কম থেকেও কিনতে পারেন আপনার দরকারি বা পছন্দের সব প্রোডাক্টস।