অতিরিক্ত চিন্তায় হতে পারে নানান সমস্যা/Overthinking can lead to various problems - Best Beauty Care

Best Beauty Care

অতিরিক্ত চিন্তায় হতে পারে নানান সমস্যা/Overthinking can lead to various problems

চিন্তা কেন হয়?

আমরা সবসময়য়ই কিছু না কিছু চিন্তা করে থাকি আর চিন্তায় পারে আমাদেরকে নানাভাবে তরান্বিত করতে মানুষই এক মাত্র প্রাণী যে চিন্তা করার ক্ষমতা রাখে তাই দৈনন্দিন জীবনে একটার পর একটা চিন্তা চলেই আসে তবে অতিরিক্ত চিন্তায় মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে যায় এটাকে ওভার থিংক বলে

চিন্তা করা খারাপ দিক না, ভালো একটা দিক। তবে দেখতে হবে সেটা কি নেগেটিভ চিন্তা নাকি পজিটিভ চিন্তা।

মানুষের ব্রেইন সর্বদা কোনো না কোনো চিন্তা করে থাকে, সুতরাং আপনি চিন্তা করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন না। তবে হ্যাঁ, সেটা যদি একটা বিষয়ের উপর অতিরিক্ত চিন্তা হয়, তাহলে সেটা খারাপ দিক। তাই আপনাকে চেষ্টা করতে হবে নিজের ব্রেইনকে বিভিন্ন দিকে কনভার্ট করা।

সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে-আপনি নিজেকে এখন থেকে আর ওভার থিংকার চিন্তা না করে নিজেকে নরমাল মানুষ ভাবেন, সাধারণ মানুষ ভাবেন। তাহলে যেটা হবে সেটা হচ্ছে-আপনার ব্রেইন এটা বুঝে নেবে যে, আপনি অতিরিক্ত চিন্তা করেন না। আর অতিরিক্ত চিন্তা বাড়াতে পারে জটিলতা তাই নিজের জীবনকে সহজভাবে পরিচালনা করবেন এতে করে মানসিকভাবে বেশ ভালো থাকতে পারবেন

অতিরিক্ত চিন্তায় কি কি হতে পারে?

১. আত্মবিশ্বাস কমিয়ে ফেলে

শুরুতেই যদি ধরে নেন আপনাকে দিয়ে হবে না, তাহলে পুরো বিষয়টি আপনার জন্য নেতিবাচক হয়ে দাঁড়াবে। এতে আপনার পুরো কর্মপরিকল্পনাই হতে পারে বরবাদ। তাই কী হবে না হবে, সবকিছু ঝেড়ে ফেলে কাজটা সঠিকভাবে করুন।

২. শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা

মানসিক বিপত্তি ছাড়াও দেখা দেয় শারীরিক সমস্যা। খিদে না লাগা থেকে শুরু করে ঘুম কমে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথা, হৃদরোগ দেখা দিতে পারে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে। অনেকেরই ‘টেনশন হেডেক’ বা অতিরিক্ত মাথাব্যথা দেখা দেয়। ফলে ঘাড় ও চোখের ব্যথাও হতে পারে।

৩. মানসিক সমস্যা

খিটখিটে মেজাজ, হতাশা, উৎসাহ হারিয়ে ফেলা থেকে শুরু করে অল্পতেই রেগে যাওয়া, সহজেই ভুলে যাওয়া কিংবা বিভিন্ন অসামাজিক আচরণ দেখা দেয়। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলে আগে যেসব বিষয় সহজেই গুছিয়ে নিতে পারতেন, সেটা আর কিছুতেই পারবেন না। উল্টা সবার সামনে সহজেই রেগে যাওয়ার প্রবণতা বাড়বে। এটা কিন্তু আপনার পরিবার ও কর্মক্ষেত্র—দুই ক্ষেত্রেই ক্ষতিকর।

৪. সঠিকভাবে কাজ করায় বাধা

যদি শুরুতেই ধরে নেন যে কাজটি আপনাকে দিয়ে হবে না, কিংবা আপনি পারবেন না, তাহলে সঠিকভাবে কাজ করার উদ্দীপনাই নষ্ট হয়ে যায়। ব্যাঘাত ঘটে স্বাভাবিক জীবনযাপনে।

৫. অল্পতেই ভেঙে পড়া যাবে না

বেঁচে থাকার জন্য নিত্যদিন সংগ্রাম করতে হয়। আর আপনি যদি কোনো কিছুতে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন, তাহলে সাহসের সঙ্গে বেঁচে থাকার প্রবণতাই নষ্ট হয়ে যাবে, যা আপনার ব্যক্তিত্বের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে

৬ ইতিবাচক চিন্তা করা

সবসময় ভালো এবং পজিটিভ চিন্তা করবেন এতে করে নেগেটিভ চিন্তা মাথায় বেশি ইমপ্যাক্ট ফেলতে পারবে না

কিভাবে চিন্তামুক্ত থাকা যায়

১। রাতে ঘুমানোর সময় ফ্রেশ হয়ে ঘুমাতে যান। যেমন মাথাটা ধুয়ে নিলেন, একটু অজু করে নিলেন, একটু পানি পান করলেন

২। সকালে দ্রুত ঘুম থেকে উঠে যান, একটু হাঁটতে বেরুন সকালের স্নিগ্ধ বাতাসে দীর্ঘশ্বাস নিন(এটা অনেক বেশি কার্যকরী)

৩। নিজের ব্রেইনকে বিভিন্ন দিকে কনভার্ট করার জন্য বই পড়াই বেস্ট। একইসাথে কয়েকটা বই পড়ুনোলে

৪। খেলাধুলা করলে ও মন ভালো থাকে ও অযথা দুশ্চিন্তা কমে তাই নিয়মিত খেলাধুলা করবেন।

৫।মাঝে মাঝে বিনোদন দেবেন নিজেকে সেক্ষেত্রে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন বা কোন বিনোদন মাধ্যম ব্যাবহার করতে পারেন

যেকোনো প্রোডাক্ট ইউজ করার ক্ষেত্রে চেষ্টা করুন অথেনটিক প্রোডাক্ট চুজ করার। অথেনটিক মেকআপ, স্কিনকেয়ার ও হেয়ারকেয়ার প্রোডাক্টসের জন্য আপনারাও ভিজিট করতে পারেন আইগ্লামার্সের ওয়েবসাইট। আপনারা চাইলে অনলাইনে আইগ্লামার্স ডট কম থেকেও কিনতে পারেন আপনার দরকারি বা পছন্দের সব প্রোডাক্টস।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *